ধর্মপাশায় জলমহাল থেকে মাছ লুটের অভিযোগ
- আপলোড সময় : ২৯-১২-২০২৪ ০৯:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-১২-২০২৪ ০৯:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ডুবাইল বিল গ্রুপ জলমহালে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে অবৈধভাবে ঢুকে সেখানে থাকা তিনজন পাহারদারকে মারধর করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পার্শ¦বর্তী নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুর গ্রামের বাসিন্দা আশিক খান (৩২) ও ধর্মপাশা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা জায়েদ নূরের (৪২) নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০জন জেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই তিনজন পাহারাদারকে রাতেই ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, ডুবাইল বিল গ্রুপ জলমহালের ইজারাদার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ডুবাইল বিল গ্রুপ জলমহালটি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। এটির পরিমাণ ৬০ একর ৩৫শতক। এই জলমহালটি ১৪২৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪৩৩বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বাৎসরিক ৪০ লাখ ২৮হাজার ২২০ টাকা ইজারামূল্যসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ সাপেক্ষে এটি ছয় বছরের জন্য ইজারা পায় ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের জয়ধনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। এই জলমহালটিতে মালিকানার অংশ দেওয়ার জন্য জৈনপুর গ্রামের আশিক খান ও রাজাপুর গ্রামের জায়েদ নূর জলমহালটির ইজারাদার মালেক সিকদারের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। দাবি না মানায় তাদের দুজনের সঙ্গে জলমহালটির ইজারাদারের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশিক খান ও জায়েদ নূরের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০জন জেলেসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ৭/৮টি জালসহ চারটি নৌকা নিয়ে তারা জলমহালটিতে ঢুকে পড়েন। রাত পৌনে ১২টার দিকে তারা জলমহালটিতে মাছ শিকার শুরু করলে সেখানে থাকা পাহারাদার নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস (২৩), আবু সালেহ (২৮) ও মো. আজিজুল (৩৭) এতে বাধা দিলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়। আহত তিনজনকে আশপাশের লোকজনদের সহায়তায় ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জলমহালটির ইজারাদার ও জয়ধনা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. মালেক সিকদার (৪৭) জানান, আমরা জলমহালটি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে ইজারামূল্যসহ যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করেছি। এতে অনেক টাকা ধারদেনা হয়ে গেছে। আশিক খান ও জায়েদ নূরকে অবৈধভাবে জলমহালে শেয়ার না দেওয়ায় তাদের দুজনের নেতৃত্বে আমাদের নিয়োজিত তিনজন পাহারাদারকে মারধর করে জলমহালটি থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করবো।
আশিক খান ও জায়েদ নূর দাবি করেন, আমরা ইজারাদারের কাছে জলমহালটির কোনো শেয়ার দাবি করিনি। আমাদের নেতৃত্বে পাহারাদারদের মারধর ও জেলেদের দিয়ে মাছ লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা জানি না। আমাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা বদনাম রটানো হচ্ছে।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ